তারেক-জোবায়দার সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের নির্দেশ
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আসাদুজ্জামান এই নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে আগামী ১৯ জানুয়ারি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য করেন তিনি।
এর আগে গত বছরের ১ নভেম্বর এই দুজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। ওই দিন দুইজনের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) গ্রহণ করে পরোয়ানা জারি করা হয়।
গত বছরের ২৬ জুন হাইকোর্ট তারেক ও জোবায়দাকে 'পলাতক' ঘোষণা করেন এবং দুর্নীতির মামলাকে চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন খারিজ করে দেন।
হাইকোর্ট ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দায়ের করা মামলার স্থগিতাদেশও প্রত্যাহার করে নেন এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিচারের কার্যক্রম শেষ করতে সংশ্লিষ্ট নিম্ন আদালতকে নির্দেশ দেন।
আদেশ পাওয়ার ১০ দিনের মধ্যে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমকে মামলার নথি ঢাকার সিনিয়র মেট্রোপলিটন দায়রা জজ আদালতে পাঠাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া, তারেকের শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে বিচার কার্যক্রম বাতিল করা হয়েছে।
২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর কাফরুল থানায় তারেক, তার স্ত্রী জোবায়দা ও জোবায়দার মা সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ৪ কোটি ৮২ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন এবং ২ কোটি ১৬ লাখ টাকার তথ্য গোপনের অভিযোগে মামলাটি করে দুদক।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ২০০৯ সালের ৩১ মার্চ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
এর আগে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয় তারেকের। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলাসহ আরও দুইটি মামলায় তাকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। এই দম্পতি ২০০৮ সাল থেকে লন্ডনে অবস্থান করছেন।