• সর্বশেষ আপডেট

    ভাইয়ের দাবি নিহত মকবুল বিএনপি সমর্থক, স্ত্রীর ‘অস্বীকার

     

    দিগন্ত ডেস্ক:নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের সময় গুলিতে নিহত মকবুল হোসেন বিএনপি সমর্থক ছিলেন বলে দাবি করেছেন তার ভাই। তবে মকবুলের স্ত্রী বলছেন, তার স্বামী কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত নন।

    নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বুধবার বেলা ৩টার দিকে সংঘর্ষের সময় গুলিতে আহত হন ৪৩ বছর বয়সী মকবুল হোসেন। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

    খবর পেয়ে সন্ধ্যার পর হাসপাতালে ছুটে আসেন মকবুলের স্বজন।

    নিহতের বড় ভাই আব্দুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার ছোট ভাই বিএনপি করত, সে বিএনপির সমর্থক। তবে আমার জানা মতে তার কোনো দলীয় পদ নেই।

    তবে মকবুল কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না বলে দাবি করেন তার স্ত্রী হালিমা বেগম।

    সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমার স্বামী জুতার কারচুপির (নকশা) ব্যবসা করতেন। তিনি মার্কেটে তাগাদায় বের হয়েছিলেন। আমার স্বামী কোনো রাজনীতি করতেন না।’

    কান্নায় ভেঙে পড়া হালিমার দুই চোখে এখন অন্ধকার।

    হাসপাতালের ফ্লোরে লুটিয়ে পড়ে চিৎকার করে তিনি বলছিলেন, ‘ওরে আল্লাহ্ আমি কী নিয়ে বাঁচব? আমার সংসার চালাবে কে চালাবে, আমার একমাত্র মেয়ে মিথিলার কী হবে? আল্লাহ আমার স্বামীরে তুমি ফেরত দাও।

    হালিমা জানান, মকবুলের গ্রামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলার পদিনির চর গ্রামে। চার ভাইয়ের মধ্যে তিনি সবার ছোট। পরিবার নিয়ে তিনি রাজধানীর পল্লবী এলাকায় থাকতেন।

    মকবুলের একমাত্র সন্তান ৯ বছরের মিথিলা স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করছে।

    ঢাকা মেডিক্যাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোহাম্মদ বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘সন্ধ্যার পর মকবুলের মরদেহ শনাক্ত করেন তার স্ত্রী হালিমা বেগম। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।
    প্রকাশিত বুধবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২২