উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আ.লীগ নেতাকে জুতা দিয়ে পেটানোর অভিযোগ
রাঙামাটির লংগদু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল বারেক সরকারের বিরুদ্ধে একই উপজেলার মাইনীমূখ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (৭ নভেম্বর) দুপুর ১টার দিকে এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ।
উপজেলার দলীয় কার্যালয় থেকে মিছিলটি বের করা হয়। মিছিল শেষে দলীয় কার্যালয়ে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মানিত উপদেষ্টা সুভাস চন্দ্র দাশ, সহ-সভাপতি ও সাবেক মাইনীমূখ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল আলী ও আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হুসেন আলী, জেলা পরিষদের সদস্য আসমা আক্তারসহ উপজেলা ও ইউনিয়নের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বক্তারা দাবি করেন, উপজেলা চেয়ারম্যান তার লাঠিয়াল বাহিনীর মাধ্যমে উপজেলায় ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছে। দিন দিন সাধারণ মানুষের ওপর নির্যাতন করে যাচ্ছেন। লাঠিয়াল বাহিনীর ভয়ে কেউ তার প্রতিবাদ করতে চায় না। এই ঘটনায় তারা তীব্র নিন্দা জানান। তারা উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল বারেক সরকারের গ্রেফতার দাবি করেন।
হামলার শিকার মাইনীমূখ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. বেল্লাল হোসেন দাবি করেন, হাজাছড়ার একজন কর্মী আমাকে জিজ্ঞাস করেন, তাকে কেন কমিটিকে রাখা হয়নি? তখন আমি তাকে জানিয়েছিলাম, উপজেলা চেয়ারম্যান আমাকে নিষেধ করেছেন। এই কথাটি উনি আবার চেয়ারম্যানকে জানান। আজ সকালে চেয়ারম্যান আমার কোনও কথা না শুনেই কিলঘুষি মারে। পরে তার পায়ের জুতা দিয়ে মারতে থাকে। পরে আশপাশের লোকজন আমাকে রক্ষা করে।
এই বিষয়ে উপজেলা চেয়ারাম্যান আব্দুল বারকে সরকার দাবি করেন, কৃষি ব্যাংক থেকে আমি সাড়ে তিন লাখ টাকা নিয়ে ফেরার পথে বেল্লাল, হুসেন মেম্বারসহ আর কয়েকজন মিলে আমার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। তখন তাদের সঙ্গে হাতাহাতি হয়। এই বিষয়ে থানায় অভিযোগ করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ৭ ফেব্রুয়ারি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে গিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় এবং তাদের পক্ষে অবস্থান নেওয়ায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে দল থেকে আট জনকে অব্যাহত দেওয়া হয়। এই আট জনের মধ্যে ছিলেন আব্দুল বারেক সরকার। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন।
প্রকাশিত সোমবার ০৭ নভেম্বর ২০২২