• সর্বশেষ আপডেট

    যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যুবলীগ-ছাত্রলীগের হামলা, আহত ৫০

     


    ভোলার চরফ্যাশনে যুবদলের ৪৪ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে অতর্কিত হামলা চালিয়েছে উপজেলা যুবলীগ-ছাত্রলীগ। হামলায় ৫০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছে বলে দাবি করেছে যুবদল।

    আজ বৃহস্পতিবার সকালে চরফ্যাশন বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দীন আলমের বাসভবনে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি পালনের সময় এ হামলার ঘটনা ঘটে।

    জানা গেছে, হামলায় উপজেলা যুবদলের প্রচার সম্পাদক মিলন নক্তি, উপজেলা যুবদল নেতা ফজলে রাব্বি, যুবদলের সহ তথ্য গবেষণা সম্পাদক জহির উদ্দিন সাদ্দাম সাইমুন, উপজেলা যুবদলের নেতা সৈকত মালতিয়া, উপজেলা মৎস্য দলের সভাপতি সোহেল খান, উপজেলা শ্রমিক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হানিফ, ওমরপুর ইউনিয়ন যুবদলের নেতা বেল্লাল মোস্তান, আছলামপুর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির, মনপুরা উপজেলা যুবদলের সহসভাপতি মেহেদী ফরাজি, নুরাবাদ যুবদলের নেতা বাবুল পাটওয়ারি, আমিনাবাদের যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মোবারক উল্লাহসহ অর্ধশত নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। তারা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুজনকে বরিশালে পাঠানো হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় চরফ্যাশন পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দিন আলমের বাসভবনে যুবদলের ৪৪ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন চলছিল। 

    কেক কাটার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুরু হয়। পরে উপজেলা যুবদলের সভাপতি আশরাফ উদ্দিন দিপু ফরাজীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন (টেলিকনফারেন্সর মাধ্যমে) সাবেক সংসদ নাজিম উদ্দিন আলম। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে নেতা-কর্মীরা বাড়ি যাওয়ার সময় উপজেলা যুবলীগ-ছাত্রলীগের হামলার শিকার হন। 

    যুবদলের দাবি, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন থাকলেও তাদেরকে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করতে দেখা গেছে। 


    চরফ্যাশন পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খায়রুল ইসলাম সোহাগ ও উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম দুলাল জানান, প্রশাসনের সঙ্গে সকল ধরনের অনুমতি নিয়েই তারা ঘরোয়াভাবে রাজনৈতিক দলের ৪৪ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করতে যাচ্ছিল। অনুষ্ঠান সুন্দর সঠিকভাবে পালিত হলেও উপজেলার ২১টি ইউনিয়ন থেকে আসা নেতা-কর্মীরা যার যার বাড়ি যাওয়ার পথে যুবলীগ-ছাত্রলীগের হামলার শিকার হন। এ সময় উপজেলা ও ইউনিয়ন থেকে আসা নেতা-কর্মীকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করা হয়। কমপক্ষে ৫০ নেতা-কর্মী হামলায় আহত হয়েছে। 


    তবে চরফ্যাশন উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. বিপ্লব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, চরফ্যাশনে বিএনপি নেতা নাজিম উদ্দীন আলম ও নুরুল ইসলাম নয়ন গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে। শুনেছি সেই অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। 


    চরফ্যাশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোরাদ হোসেন জানান, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    প্রকাশিত বৃহস্পতিবার ২৭ অক্টোবর ২০২২