অবৈধ সম্পদ অর্জন: বাবরের ৮ বছরের কারাদণ্ড
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকে আট বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক মো. শহিদুল ইসলামের আদালত এ আদেশ দেন। আদালতের সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এদিন সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে বাবরকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে আদালত তার উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণা শেষে সাজা পরোয়ানা জারি করে কারাগারে পাঠানো হয়।
গত ৪ অক্টোবর দুদক ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং তথ্য গোপনের মামলায় রায়ের জন্য ১২ অক্টোবর দিন রাখে আদালত।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের ২৮ মে যৌথবাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার বাবরের বিরুদ্ধে মামলাটি রমনা থানায় করা হয় ২০০৮ সালের ১৩ জানুয়ারি।
মামলাটি করেন সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১-এর সহকারী পরিচালক মির্জা জাহিদুল আলম। তদন্ত শেষে ওই বছরের ১৬ জুলাই দুদকের উপসহকারী পরিচালক রূপক কুমার সাহা আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
মামলায় বাবরের বিরুদ্ধে ৭ কোটি ৫ লাখ ৯১ হাজার ৮৯৬ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। এর মধ্যে বাবর দুদকে ৬ কোটি ৭৭ লাখ ৩১ হাজার ৩১২ টাকার সম্পদের হিসাব দাখিল করেছিলেন।
সাবেক এই প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রাইম ব্যাংক ও এইচএসবিসি ব্যাংকের দুটি এফডিআরে ৬ কোটি ৭৯ লাখ ৪৯ হাজার ২১৮ টাকা এবং বাড়ি নির্মাণ বাবদ ২৬ লাখ ৪২ হাজার ৬৭৮ টাকা গোপনের অভিযোগ আনা হয়।
১৯৯৬ সালে বিএনপিতে নাম লেখানো বাবর ছিলেন বিএনপির বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের খুব ঘনিষ্ঠ। ২০০১ সালে নেত্রকোণার-৪ আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় এবং ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় বাবরকে।
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ১২ অক্টোবর ২০২১