• সর্বশেষ আপডেট

    ঝালকঠিতে সহকারী প্রধান শিক্ষকের অবৈধভাবে নিয়োগ, বেতন ভাতা বন্ধ

    মোঃ আল-আমিন, ঝালকাঠিঃ- ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার চেঁচরীরামপুর এমএল মাধ্যমিক বিদ্যালয়েরসহকারী  প্রধান  শিক্ষক  তথ্য  গোপন  করে  অবৈধভাবে  নিয়োগ  পাওয়ায়সরোয়ার হোসেনের বেতন ভাতা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

    চলতি বছরের আগস্টমাস থেকে তাঁর বেতন ভাতা বন্ধ করে দেন প্রধান শিক্ষক মেহেদী হাসান।তথ্য  অনুসন্ধানে  জানা  যায়,  শিক্ষা  মন্ত্রণালয়ের (স্মারক  নং-ডিআইএ/ঝালকাঠি  /২৪১১  এস/খুলনা  ২৬৬৫/৬  তারিখ:-  ২৫-০২-২০১৯)চূড়ান্ত অডিট  রিপোর্টে  পরিদর্শন  ও  নিরীক্ষা  অধিদপ্তরের  পরিচালকপ্রফেসর মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, উপপরিচালক সৈয়দ জাফর আলী ও সহকারীশিক্ষা পরিদর্শক মুহাম্মদ মনিরুল আলম স্বাক্ষরিত পত্রে উল্লেখ করা হয়,সহকারী প্রধান শিক্ষক সরোয়ার হোসেন প্রথমে জুনিয়র শারীরিক শিক্ষকহিসেবে চাকরি  করেন।

    চাকরিরত  অবস্থায়  তিনি  উম্মুক্ত  বিশ্ববিদ্যালয়থেকে ২০০৭ সালের ৩০ এপ্রিল বিএ  পাস করেন।তখনও তিনি সহকারীশিক্ষকের বেতনভুক্ত  হননি। কিন্তুু চেঁচরীরামপুর বিদ্যালয়ে  তিনি যখনসহকারী  প্রধান  শিক্ষক  হিসেবে  আবেদন  করেন,  তখনও  তিনি জুনিয়রশিক্ষক  ছিলেন।  বিএ  পাস  থেকে  সহকারী  প্রধান  শিক্ষক  হিসেবেচেঁচরীরামপুর বিদ্যালয়ে  যোগদানের  পূর্ব  পর্যন্ত  তাঁর  ১০ বছরের অভিজ্ঞতা ছিল না। ২০১৩ সালের ২৪ মার্চের সংশোধিত নীতিমালায় বলাআছে, সহকারী প্রধান শিক্ষক হতে হলে সহকারী শিক্ষক হিসেবে ১০ বছরেরঅভিজ্ঞতা থাকতে হবে। তাঁর নিয়োগ বিধিসম্মত না হওয়ায় তিনি কোনসরকারি বেতন ভাতা পাবেন না।

    এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক মেহেদী হাসানবলেন, সরকারি নির্দেশ মেনেই আমি ওই শিক্ষকের আগস্ট মাস থেকে বেতনভাতা বন্ধ করে দিয়েছি। অবৈধভাবে প্রতারণার মাধ্যমে তথ্য গোপন করেনিয়োগ নিয়ে সরকারি টাকা আত্মসাৎ করতে আমি দিতে পারি না। এইশিক্ষকের শিক্ষা জীবনে সবগুলোই তৃতীয় বিভাগ, সেটিও পরিপত্র পরিপন্থী।যারা সরোয়ারের নিয়োগ দিয়েছেন তারাও দুর্নীতির সাথে জড়িত বলেমনে করি। তাদের সকলকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।

    প্রকাশিত: মঙ্গলবার ০৮, সেপ্টেম্বার ২০২০