কুলাউড়ার বাঘজুড় গ্রামে প্রতিপক্ষের হুমকিতে আতঙ্কিত এলাকাবাসী।
ব্যক্তিগত রাস্তায় গাড়িযোগে মাটি আনতে বাঁধা, চলাচলের রাস্তা বন্ধ কুলাউড়ার বাঘজুড় গ্রামে প্রতিপক্ষের হুমকিতে আতঙ্কিত এলাকাবাসী।
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৯ মে, ২০২০
মবু আহমেদ চৌধুরী, কমলগঞ্জ(মৌলভীবাজার): মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের বাঘজুড় গ্রামে ব্যক্তিগত রাস্তায় গাড়িযোগে মাটি আনতে প্রতিপক্ষ বাঁধা দিয়ে চলাচলের রাস্তা বন্ধ রেখেছে।
এ বিষয়ে প্রতিবাদ জানালে ধারালো অস্ত্রসস্ত্রে হামলার রনসজ্জা গ্রহণ করে প্রতিপক্ষ। ইসলামী ফাউন্ডেশনের ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী মাওলানা নুরুল ইসলাম ও তার ছেলে নোমান মিয়া ওরপে ডেইলী মস্তান কথায় কথায় মন্ত্রী, এম’পির প্রভাব দেখিয়ে এলাকার লোকজনকে হুমকি ধামকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে থাকেন এবং ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন মুহুর্তে রক্তক্ষয়ী আশংকা করছেন এলাকাবাসী।
গত ১৭ মে রোববার দুপুর ২ ঘটিকায় বাঘজুড় গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। প্রতিপক্ষের হুমকির ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকাবাসীর পক্ষে সোমবার কুলাউড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়। এলাকাবাসী অভিযোগে জানান, উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের বাঘজুড় গ্রামের ক্বারী আব্দুস ছামাদের ছেলে মাওলানা আব্দুল গফুর নিজস্ব রাস্তা দিয়ে গাড়িযোগে বাড়িতে মাটি আনতে বাঁধা সৃষ্টি করেন প্রভাবশালী প্রতিপক্ষ মবশ্বির আলী, আব্দুল মজিদ গংরা। এরপর প্রতিপক্ষের লোকজন আব্দুল গফুরসহ গ্রামের লোকজনের যাতায়াতের রাস্তাবন্ধ করে দেন।
এছাড়াও আব্দুল গফুরের কৃষিজমি উচুঁ থাকায় এলাকার বৃষ্টির পানি জমে এই জমির উপর দিয়ে মবশ্বির আলীর নিচু জমিতে গিয়ে পড়ে। আব্দুল গফুরের জমি থেকে যাতে নিচু জমিতে পানি নামতে না পারে সেজন্য মবশ্বির আলী, আব্দুল হামিদ, নূরুল ইসলাম, মানিক মিয়াসহ প্রতিপক্ষরা যোগসাজশে মবশ্বির আলীর জমিতে বাঁধ নির্মাণ করে আব্দুল গফুরের জমি থেকে পানি নিস্কাশনের পাইপ খুলে এবং জমির সীমানার খুঁটি উপড়ে নিয়ে যান।
অভিযোগ করে মাওলানা আব্দুল গফুর বলেন, এঘটনায় স্থানীয়ভাবে বিচারপ্রার্থী হলে প্রতিপক্ষের লোকজন চাপাতি, রামদা, লাঠি ও লোহার রড সহ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে ১৭ মে দুপুরে হামলার চেষ্টা করে এবং প্রাণেহত্যার হুমকি প্রদান করে। আমি ঘরের দরজা, জানালা বন্ধ করে তৎক্ষনাৎ আত্মরক্ষার চেষ্টা করি।
তিনি আরও বলেন, মবশ্বির আলীসহ প্রতিপক্ষের লোকজন আমার জমির আইলে বাঁধ দেয়ায় রোপিত জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করেছে। ফলে জমির ক্ষেত বিনষ্ট হওয়ার প্রক্রিয়া দেখা দিয়েছে। আব্দুল মতিন, আঞ্জব আলী, এনামুল হকসহ স্থানীয় গ্রামবাসী জানান, প্রতিপক্ষ ইসলামী ফাউন্ডেশনে কর্মরত নুরুল ইসলাম ও তার ছেলে নোমান মিয়া এলাকায় কথায় কথায় মন্ত্রী, এম’পির প্রভাব দেখিয়ে এলাকার লোকজনকে হুমকি ধামকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে থাকেন এবং ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। নোমানের বিরুদ্ধে ইয়াবা ব্যবসাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে।
তবে মাওলানা নূরুল ইসলাম (জলিল) বলেন, এলাকাবাসীর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন আমরা এঘটনার সাথে জড়িত নই। আমরা চাকুরী করি। বর্তমানে লকডাউন অবস্থায় বাড়িতে আছি।
এ ব্যাপারে শরীফপুর ইউপি চেয়ারম্যান জুনাব আলী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তিনি বিষয়টি সামাজিকভাবে সমাধানের জন্য উভয়পক্ষকে শান্ত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন।
কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ ইয়াদুস হাসান বলেন, এখন পর্যন্ত এ ধরণের কোন অভিযোগ এখনও পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তক্রমে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৯ মে, ২০২০