• সর্বশেষ আপডেট

    ওরশ দেখতে গিয়ে গনধর্ষণের শিকাড় নবম শ্রেণীর মাদ্রাসা ছাত্রী | Digonto News BD


    রাজিব ইমাম, কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ- কুমিল্লার হোমনায় নেশাদ্রব্য খাইয়ে নবম শ্রেণির এক মাদরাসা ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গত ২২ ফেব্রুয়ারী রাতে উপজেলার জয়পুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত আসামীরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের ভয়ে পালিয়ে অন্যত্র চিকিৎসা করে বলে জানায় পরিবার। 

    ঘটনার আটদিন পর গতকাল শনিবার সকালে ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে সাত জনকে আসামি করে হোমনা থানায় মামলা করেছেন। মামলা নং-১৩,তারিখ-২৯-২-২০২০খ্রি,ধারা-২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩ এর ৯(৩)/৩০,

    আসামীরা হলো,জয়পুর গ্রামের মো. জয়নাল আবেদীনের, ছেলে জুযেল রানা(২২) মনির হোসেনের, ছেলে আল-আমিন(১৯),বাবর আলীর, ছেলে পারেভেজ মিয়া(১৯), জহিরুল ইসলামের, ছেলে জিয়া((১৭), শাহ আলমের, ছেলে জালাল উদ্দিন(১৭) কবির মিয়ার, ছেলে সাকিব((১৭) ও মো. কাহিন মিয়ার, ছেলে শাহপরান(১৭)।

    মামলার বাদী ভিকটিমের মা জানান, তার মেয়ে অনন্তপুর দড়িকান্দি হাজী মাজেদুল ইসলাম দাখিল মাদরাসার নবম শ্রেণির নিযমিত শিক্ষার্থী।মাদরাসায় আসা- যাওয়ার পথে একই গ্রামের জয়নালের ছেলে জুয়েল রানা বিভিন্ন ধরনের কু-প্রস্তাব দিত। তার প্রস্তাবে সাড়া না দেয়ায় অপহরণের হুমকিও দেয়া হয়েছে।

    এ ঘটনা জানতে পেরে মেয়েকে তাদের থেকে সাবধানতা অবলম্বনের ব্যাপারে বলা হয় । গত ২২ তারিখ ওরশ দেখতে গিয়ে রাতে বাড়ি না আসায় অনেক খোঁজাখুজি করি। সকালে গ্রামের মাহফুজ মাষ্টারের পুকুর পাড়ে তাকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায় ।পরে তাকে তিতাস উপজেলার বাতিকান্দি বাজারের এক ফার্মেসীতে নিয়ে যাই। পরে আসামীদের ভয়ে ঢাকায় আমার বোনের বাসায় নিয়ে চিকিৎসা করি ।

    ভিকটিম ছাত্রী বলেন, গত ২২ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যায় আমার দুই বোনের সাথে গ্রামের ফকির বাড়িতে অনুষ্ঠিত ওরশ দেখতে যাই । 

    এ সময় জুয়েল রানা ও আল-আমিন আমার পিছুনেয় এবং আমার সাথে কথা আছে বলে আড়ালে নিয়ে আমাকে জুস খাইতে দেয় । জুস(মোজু) খাওয়ার পর আমার শরীর কেমন জানি করছে । পরে আমাকে আরিফ মাওলানার পরিত্যক্ত দুচালা টিনের ঘরে নিয়ে উল্লেখিত আসামীরা রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

    হোমনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবুল কায়েস আকন্দ জানান, এ ঘটনা ফেইজ বুকে প্রকাশিত হলে আমি নিজে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি এবং ভিকটিমের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে ভিকটিমকে উদ্ধার করি। মেয়েটির মা বাদী হয়ে সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে । আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যহত আছে ।

    gifs website


    প্রকাশিত: রবিবার, ০১ মার্চ, ২০২০