• সর্বশেষ আপডেট

    ধানসিঁড়ি নদী খনন, মাটির চাপায় খাল সংযোগ বন্ধ!

    ধানসিঁড়ি নদী খনন মাটির চাপায় খাল সংযোগ বন্ধ! আমন আবাদে অনিশ্চয়তা, কৃষকের মাথায় হাত মোঃ আল-আমিন, ঝালকাঠিঃ-


    ঝালকাঠির রাজাপুরে ধানসিঁড়ি নদী খনন করে অপরিকল্পিত ভাবে স্তুপ করেমাটি রাখায় মাটির নিচে চাপা পরে সংযোগ খাল ও সেচ নালা বন্ধ হয়েকৃষকদের চাষাবাদ বন্ধ হয়ে গেছে। সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলারমঠবাড়ি ইউনিয়নের প্রায় ৩ কিলো মিটার জায়গায় ধানসিঁড়ি নদীখননের মাটিতে সংযোগ খাল ও সেচ নালা চাঁপা পরে আছে।

    বাগরী ব্রাকমোড় এলাকা থেকে উত্তর বাগরী গাজী বাড়ির খাল পর্যন্ত প্রায় ১৫শ বিঘাজমিতে   এ   সমস্যার কারনে এলাকার কৃষকদের চাষাবাদ মারাত্মক ভাবেব্যাহত হচ্ছে। সেচ সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। আর একারনে কৃষকরাহতাশ হয়ে পরেছেন। পাশাপাশি এসব জমিতে বর্ষার পানি জমে থাকায়দুর্গন্ধে এলাকার পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। সরানো যাচ্ছেনা পানি।

     দীর্ঘদিন এ সমস্যার কারনে সংযোগ খালে পানি না আসায় এলাকাবাসি এইদূষিত পানি রান্না ও ধোয়া পাল্লার কাজে ব্যবহার করছে। বাগরী ব্রাক মোড় এলাকার কৃষক ফারুক সিকদার জানান, ব্রাক মোড় এলাকায় ২টি ছোট কালভার্ট রয়েছে যাহা নদী খননের সময় মাটি রাখায়মুখ বন্ধ হয়ে গিয়েছে।

    তখন   আমরা   বাধা   দিলে   তারা   পরে   সরাবে   বলেআশ্বাস দেয়  কিন্তু আজও  পর্যন্ত  সরায়নি। তবে  আমরা  নিজ  উদ্যোগেমাটি সরাতে গেলে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল তাদের জায়গা দাবী করে দখলকরে আছেন এবং মাটি সরাতে বাধা প্রধান করছেন।

    উত্তর বাগরী এলাকার বাহাদুর গাজী, মোজাম্মেল, ইসরাফিল খান, এসমাইলখান, আঃ মজিদ, আঃ রউফ, আমরা প্রতি বছরের মতো চলতি মওসুমে ইরিআবাদ করতে পারিনি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের ধানসিড়ি নদী খননেরঠিকাদার খননের মাটি সরিয়ে না নেয়ায় সেচ সংকট চরম আকার ধারণকরেছে।

    পাহাড়ের মত মাটি কেটে ফেলে রাখায় এ্ই এলাকার ৬টি সংযোগখাল ও ৫টি কালভার্টের মুখ বন্ধ হয়ে মাটির নীচে চাঁপা পরেছে। দ্রুত এমাটি সরিয়ে খাল ও কালভার্টের মুখ চালু করতে না পারলে এই  আমনমৌসুমেও চাষাবাদ করা সম্ভব হবেনা বলে কৃষকদের অভিযোগ।

    উপজেলা সহকারী কৃষি সম্প্রসারন অফিসার আ: ছালাম আকন জানান,পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকলে অতিবৃষ্টির কারনে পানি আটকে থেকেজলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। আর এ কারনে বীজতলা বা রোপনকৃত ধান নষ্ট হতেপারে।

    এ বিষয়ে ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলীমো. ফয়সাল জানান, আমি বিষয়টি জানার সাথে সাথে মাটি সরিয়েসেচ নালা ও সংযোগ খাল গুলোর পানি চলাচল করার ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনাদিয়েছি। তবে খননের মাটি গুলো কিছু অংশ সরিয়ে ওয়াক আউট করা হবে।একই সাথে পাশে গাছ লাগানো হবে।

    প্রকাশিত: শনিবার, ২৭ জুন, ২০২০